নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে নৌকা ডুবে শিক্ষার্থী রেখা আক্তার নিখোঁজের খবরে তীরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের ভিড়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কেরনখলা-খালিশাপাড়া ফেরিঘাট এলাকায়
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে নৌকা ডুবে শিক্ষার্থী রেখা আক্তার নিখোঁজের খবরে তীরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের ভিড়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কেরনখলা-খালিশাপাড়া ফেরিঘাট এলাকায়

সোমেশ্বরীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ কিশোরীর লাশ পাওয়া গেল ৮ কিলোমিটার দূরে

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসাছাত্রী রেখা আক্তারের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে চণ্ডীগড় ইউনিয়নের কেরনখলা-খালিশাপাড়া ফেরিঘাটে নৌকা ডুবে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়।

মারা যাওয়া রেখা আক্তার উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের খালিশাপাড়া গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে। সে কেরনখলা মহিলা মাদ্রাসার দাওরা হাদিস (দশম) শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মাদ্রাসার কিছু ছাত্রীসহ ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী একটি ডিঙিতে কেরনখলা ফেরিঘাট থেকে খালিশাপাড়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। নৌকাটি কেরনখলা ঘাট থেকে কিছুদূর গিয়েই ডুবে যায়। এ সময় অন্যরা সাঁতার কেটে তীরে উঠলেও রেখা আক্তার নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে ওই দিন রাত আটটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরদিন গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জের ডুবুরি দলও উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ উদ্ধার করলে স্বজনেরা লাশ ওই ছাত্রীর বলে নিশ্চিত করেন।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুর হাসান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ওই ছাত্রীর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। নৌকার নিচে ছিদ্র দিয়ে পানি ঢোকায় এটি ডুবে যায় বলে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দেব বলেন, এখনো পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।