বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বাধা উপেক্ষা করেই উপজেলা বিএনপির নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল সড়কে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হয়। বিক্ষোভ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সেখানে গিয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বলেন। এ সময় দুই পক্ষই মারমুখী অবস্থান নিলে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বামনায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। এদিকে এই কর্মসূচিকে ‘বিএনপির নৈরাজ্য’ দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগ আজ একই সময়ের পাল্টা প্রতিবাদ কর্মসূচি আহ্বান করে। হাসপাতাল সড়ক থেকে ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল মহড়া যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, একই সময়ে দুই দল কর্মসূচি দেওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলে সরকারি দল সেটা বানচাল করতে পাল্টা কর্মসূচি দেয়। প্রথমে আমাদের কর্মসূচি কলেজ রোডের দলীয় কার্যালয়ে করার কথা ছিল। প্রশাসন সেখানে কর্মসূচি করতে দেয়নি। আমি বাধ্য হয়ে আমার নিজের বাসার সামনে নিজের জমিতে বিক্ষোভ করেছি। সেখানেও ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে কর্মসূচিতে হামলা করেছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের বাধা উপেক্ষা করে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শ্বেদ শাহরিয়া গোলদার দাবি করেন, সমাবেশস্থল থেকে তাদের মহড়া নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ চালান। গুরুত্বপূর্ণ বামনা হাসপাতাল সড়কটির যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য বিএনপির কর্মীদের অনুরোধ করলেও তাঁরা সড়ক আটকে রাখেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, বিএনপির সমাবেশের পাশ দিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিল যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে কোনো হামলা বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। একই সময়ে দুই দল কর্মসূচি দেওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।