নির্বাচনের সময় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে শিক্ষকদের মিলনমেলার আয়োজন করায় গাজীপুরে এক শিক্ষক নেতাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পিকনিক স্পটের লাইসেন্স না থাকায় পার্ক কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন অপর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সুমাইয়া মমিন ও শাহরুখ খান।
সুমাইয়া মমিন বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন এ ধরনের সমাবেশ বেআইনি। তা ছাড়া ওই অনুষ্ঠানের ব্যানারে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁরা এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যাঁদের নির্বাচনে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কারণে নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর নীলের পাড়া এলাকায় সবুজ ছায়া পিকনিক স্পটে কোনো অনুমতি ছাড়া শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করে কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন। এখানে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের কয়েক হাজার শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সমাবেশ ঘটে। এ সময় সেখানে ব্যানারে অনেকের নাম লেখা দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়দা খাতুন এবং বিশেষ অতিথি সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের নামও লেখা ছিল। মিলনমেলায় সবার জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী এ ধরনের সমাবেশ আয়োজন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি প্রয়োজন। পূর্ব অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের আয়োজন করায় অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক গাজীপুর কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েনের বাসন থানার সভাপতি আলমগীর কবীরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরুখ খান জানান, ওই পিকনিক স্পটের অনুমোদন না থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।