‘চাইর দিন ধইরা বাড়িঘরে পানি, কেউ খোঁজ নিল না’ বলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাকশী গ্রামের সেই আলেয়া বেগমের (৫২) বাড়িতে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
গতকাল প্রথম আলো অনলাইন ও আজ পত্রিকার মুদ্রণ সংস্করণে ‘চাইর দিন ধইরা বাড়িঘরে পানি, কেউ খোঁজ নিল না’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বন্যায় ত্রাণ না পাওয়া কিছু মানুষের তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইউএনও মাসুদ রানা বলেন, ‘সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হলে দ্রুত ওই পরিবারের কাছে ছুটে যাই। ত্রাণসামগ্রী তুলে দিই। সরকারি–বেসরকারি, সামাজিক–রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ আমরা সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, একটা পরিবারও যেন এই বন্যায় অভুক্ত না থাকে।’
মাসুদ রানা বলেন, ওই পরিবারকে এক কেজি করে মুড়ি ও চিড়া, আধা কেজি গুড়, এক লিটার পানি ও খেজুর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিত্যপণ্য হিসেবে জগ, মগ, ব্রাশ, জুতা, ন্যাপকিন, ডিটারজেন্ট পাউডার, সাবান, গামছা, নেইল কাটার ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। আজ রাতে খাওয়ার জন্য খিচুড়ি পাঠানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদ–নদীর পানি বাড়ে। এ সময় নদ–নদীর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও বাঁধ উপচে ঢলের পানিতে উপজেলার পোড়াগাঁও, নয়াবিল, নন্নী, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা প্লাবিত হয়। গত শনিবার রাত থেকে উজানের পানি নিম্নাঞ্চল যোগানিয়া, মরিচপুরান, কলসপাড় ও রাজনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত করেছে।
বন্যার্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৭ হাজার ৩০০ পরিবারের কাছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খিচুড়িসহ বিভিন্ন সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।