নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সেচপাম্পের মোটরের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরেকজন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোগলা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন ধীরপুর গ্রামের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম ফকির (৫২) ও একই গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে রূপায়ণ মিয়া (২৮)। আর আহত ব্যক্তির নাম জায়েদুল মিয়া (২৫)। তিনি ওই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম দুই শ্রমিক রূপায়ণ ও জায়েদুল নিয়ে তাঁর কৃষি জমিতে সেচ দিতে যান। রফিকুল সেচপাম্পের মোটরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বিষয়টি দেখে শ্রমিক রূপায়ণ মিয়া এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় পাশে থাকা জায়েদুল মিয়া উভয়কে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে স্থানীয় লোকজন বিদ্যুতের মূল সংযোগ বন্ধ করে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ও রূপায়ণকে মৃত ঘোষণা করেন। আর জায়েদুলকে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মোটরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রথমে সাবেক সেনাসদস্য রফিকুল ইসলাম আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও দুই শ্রমিক আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’