আড়াই মাস বয়সী দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন গৃহবধূ রুমে আক্তার। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
আড়াই মাস বয়সী দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন গৃহবধূ রুমে আক্তার। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে

বৃষ্টিবিঘ্নিত সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম

আজ বুধবার বৃষ্টিবিঘ্নিত সকালে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি হাতে গোনা। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সকাল সোয়া নয়টায় চর জব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চর জব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে ২০টি। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রটিতে ভোটার ৪ হাজার ৬৪৩ জন। বুথের সংখ্যা ১০টি। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অবশ্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তার এই বক্তব্যের সত্যতা মেলে সকাল ১০টায়। ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে মোট ভোট পড়ে ২৩৩টি।

সকাল দশটায়ও ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে

সকাল সাড়ে নটায় এই কেন্দ্রে আড়াই মাস বয়সী দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন চর জব্বর গ্রামের বাসিন্দা রুমি আক্তার। কোলের বাচ্চাটিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নারী আনসার সদস্যের কাছে রেখে ভোট দিতে যান তিনি। প্রথম আলোকে রুমি আক্তার বলেন, বৃষ্টি থাকায় সকাল সকাল আসতে পারেননি। তাই এখন ভোট দিতে এসেছেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তাঁর কোনো রকম সমস্যা হয়নি।

সকাল পৌনে দশটায় এই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৬১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রের পাশে কিছু লোক জটলা পাকানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোথাও এখন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এমপিপুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী ও এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী। আতাহার ইসরাক নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে। অপর দিকে এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান।

এই উপজেলায় আটটি ইউনিয়নে ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১।