পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গাজীপুরে সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক ও পুলিশ সংঘর্ষের পর সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে দূরপাল্লার যান চলাচল না করলেও স্থানীয় যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে নগরের কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকার কিছু কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকা থেকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় এক নারী শ্রমিকসহ ১০-১২ জন আহত হন। পরে আহত এক নারী শ্রমিক মারা যান। ওই ঘটনার পর কোথাও শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিকেলে কারখানা ছুটির পর আবার গাজীপুরের নাওজোড়, চান্দানা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়েও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এদিকে কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকায় ২০ থেকে ২২টি কারখানার সামনে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকার মুনটেক্স ফেব্রিকস কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, ‘শ্রমিকেরা সকালে কাজে এসে হাজিরা দিয়ে কাজ ফেলে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া শ্রমিকেরা ভাঙচুর, মারামারিসহ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যার কারণে কারখানা বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার ছয়টার পর শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। নগরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া ও কোনাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে শিল্প ও থানা-পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।