মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কোলচোরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল শেখ (৩৮)। তিনি কোলচোরি গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে। শহিদুল পেশায় একজন ভ্যানচালক। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান সরদারের সমর্থনে কাজ করেছিলেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আনু শেখ একই গ্রামের মালেক শেখের ছেলে। তিনি বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান শাহীনের কর্মী।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও স্বজনেরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রীর উদ্দেশ্যে ভ্যান নিয়ে বের হন শহিদুল শেখ। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা আনু শেখ লোকজন নিয়ে শহীদুলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হাতুড়িপেটা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙে ফেলে। শহিদুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় ভ্যানচালকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শহিদুল শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা এলাকায় ঘোড়ার পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ওরা নির্বাচনের আগে থেকেই আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এ কারণে আমাকে একা পেয়ে মোটরসাইকেলের কর্মী আনু ও তাঁর লোকজন আমার ওপর হামলা চালাইছে। রড আর হাতুড়ি দিয়ে আমাকে পেটানো হইছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে আনু শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। শহিদুল নির্বাচনের ইস্যুতে নিজেদের লোকজন দ্বারাই হামলার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় আমাদের ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি জানিয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুলাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২১ মে মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান শাহীন ৩৬ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ১১ হাজার ৯১৬ ভোট।