চট্টগ্রামের পটিয়ার মরিয়ম এগ্রো ফার্মের গরু লুটের ঘটনাকে সাজানো বলছে পুলিশ
চট্টগ্রামের পটিয়ার মরিয়ম এগ্রো ফার্মের গরু লুটের ঘটনাকে সাজানো বলছে পুলিশ

খামার করতে টাকা নিয়েছেন ভাই থেকে, ফেরত না দিতে 'সাজালেন' গরু লুটের নাটক

চট্টগ্রামের পটিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে খামার থেকে ২১টি গরু লুটের ঘটনাকে সাজানো নাটক বলছে পুলিশ। খামারের মালিক তৌহিদুল ইসলাম নিজেই কর্মচারীদের দিয়ে মূলত এমন নাটক সাজিয়েছেন বলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর সাংবাদিকদের জানান। খামার করতে বড় ভাইয়ের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন খামারের মালিক। টাকা ফেরত না দিতেই তিনি এমন নাটক সাজান বলে পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পটিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওসি আবু জায়েদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ধলঘাট গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন মরিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মে ২১টি গরু লুটের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। খামারের তিন কর্মচারী সালাউদ্দিনর (৩৫), এমরান উদ্দিন (১৮) ও আলাউদ্দিনকে (৪৫) থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় তাঁরা বলেন, মালিকের কথামতে তাঁরা নিজেরাই ডাকাতির ঘটনা সাজিয়েছেন। পরে মালিক তৌহিদুল ইসলামও এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তৌহিদুল ইসলাম পুলিশের কাছে বলেছেন, খামারে তাঁর ভাই পুঁজি বিনিয়োগ করেছিলেন। ভাইয়ের দেওয়া পুঁজি নষ্ট করে ফেলেছেন তিনি। তা ছাড়া তাঁর কাছে বিভিন্নজনও বিপুল পরিমাণ টাকা পান। তাই এ টাকা না দিতে কর্মচারীদের দিয়ে তিনি এ ঘটনা সাজিয়েছেন। তবে ফার্ম থেকে কোনো গরু লুট হয়নি এবং এত গরু ছিলও না।

পরে পুলিশ খামারের মালিক ও কর্মচারীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। খামারের মালিক তৌহিদুলের বড় ভাই সফিউল আলম বলেন, তাঁর ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলামকে কোটি টাকার মতো দিয়েছেন খামার করার জন্য। তবে ভাই এই টাকা কী করেছেন, তিনি জানেন না। টাকা না দিতেই তৌহিদুল এই নাটক সাজিয়েছেন বলে সফিউল দাবি করেন।

গত সোমবার গভীর রাতে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামের খামার থেকে ২১টি গরু লুটের ঘটনা ঘটে বলে প্রচার করেন খামারের মালিক তৌহিদুল ইসলাম। গরু লুটের এ ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। তবে পুরো ঘটনা সাজানো বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।