লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রবিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় শহিদুল ইসলাম নামের আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রবিউল ইসলাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর (ডাঙ্গাপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিনের ছেলে। আহত শহিদুল ইসলাম (৩৫) একই ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রামের বাসিন্দা।
৬১ বিজিবির তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম মাহবুবুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে গুলিতে একজন নিহত হওয়ার কথা শুনেছেন। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়েছে।
পাটগ্রাম থানা–পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দিনগত রাতের দিকে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ভেরভেরিরহাট সীমান্তের ৮৬৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে রবিউল ইসলামসহ একদল গরু ব্যবসায়ী অবৈধ পথে ভারতের ওপারের গরু আনতে যান। এ সময় তাঁরা ভারতের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙা থানার আশোকবাড়ি গ্রাম সীমান্তে ভারতের ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহল দলের মুখোমুখি হন। পরে বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুঁড়েন। পালিয়ে আসার সময় রবিউল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান। গুলিবিদ্ধ শহিদুল ইসলামকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে রাতেই রংপুরে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, নিহত রবিউল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শহিদুল ইসলাম নামের আরেকজন আহত হয়েছেন। তিনি কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা জানা নেই।
বিজিবির সূত্রের ভাষ্য মতে, ঘটনাস্থলের কাছে উভয় দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সকালে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে শমসেরনগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার বেলাল হোসেন ও ভারতের পক্ষে চেনাকাটা ক্যাম্পে কমান্ডার বারোরাম শিং-এর নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক করা হয়। বৈঠকের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।