জনগণের ভোগান্তি কমাতে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমে নতুন নিয়ম আসছে। খুব শিগগিরই খোলাবাজারে ওএমএসের পণ্য বিক্রি কার্ডের মাধ্যমে শুরু হবে।
নওগাঁর পোরশার উপজেলা সদরের কপালির মোড়ে চলমান খোলাবাজারে বিক্রয় কার্যক্রম (ওএমএস) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ মন্তব্য করেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একই ব্যক্তি বার বার ডিলার পয়েন্ট থেকে ওএমএসের চাল ক্রয় করে পরে সেগুলো বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। আবার অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল কিনতে পারছেন না। কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের পণ্য বিতরণ করা হলে এ প্রবণতা কমবে এবং সবাই পাবে। কার্ডের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সপ্তাহে একবার ওএমএসের চাল কিনতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে জনগণের ভোগান্তি কমাতে উপকারভোগীদের মধ্যে কার্ড প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী তাঁদের প্রত্যেককে কার্ড দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস পণ্য বিতরণ শুরু হবে।
চালের বাজারমূল্য কমাতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি বাড়ানো হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে চালের অনেক মজুত আছে, কোনো অভাব নেই। আমনের উৎপাদন ভালো হয়েছে। বোরো ফসলের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বেশি আমদানি করলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে না। কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে হবে। আপাতত আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই, প্রয়োজন হলে যেকোনো মুহূর্তে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে।
নিম্ন আয়ের লোকদের কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য ওএমএস-এ ৩০ টাকায় চাল দেওয়া হচ্ছে। আবার চলতি মাস থেকেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হয়েছে। ৫০ লাখ পরিবার প্রতিমাসে একবার করে ৩০ কেজি চাল পাবেন।
এ সময় পোরশার ইউএনও সালমা বেগম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী উপজেলার নিতপুর খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি গুদামে রক্ষিত চালের গুণগতমান পরীক্ষা করে দেখেন।