মিছিলে ছুরি হাতে সেই যুবক (বায়ে)। আজ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর
মিছিলে ছুরি হাতে সেই যুবক (বায়ে)। আজ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর

আ.লীগের মিছিলে ছুরি হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। এ সময় এক যুবক ছুরি উঁচিয়ে তেড়ে যান প্রতিপক্ষের দিকে। গত রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরি উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া যুবকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

ছুরি হাতে থাকা সেই যুবকের নাম মো. রাকিব হোসেন। রাকিব পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়দানকারী মোহাম্মদ ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

গত রোববার নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল বের হয় লালদীঘি মাঠ থেকে। মারামারিতে লিপ্ত হওয়া দুটি পক্ষই মিছিলে যোগ দেয়। মিছিলে ফিরোজের অনুসারীদের সঙ্গে একই এলাকার ইলিয়াছ সরকার পক্ষের অনুসারীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। দুটি পক্ষই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

পুলিশ ও নেতাদের হস্তক্ষেপে আন্দরকিল্লা এলাকায় মারামারি থামানো হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় গিয়ে দুই পক্ষ আবার মারামারিতে জড়ায়। এ সময় মক্কা হোটেল নামের একটি রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাকিব হোসেন নামের ওই যুবককে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ হামজারবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে তাঁর বাড়ি। পিতার নাম রসুল মিয়া। থাকেন হামজারবাগ এলাকায়। রাকিবের কোনো দলীয় পদ নেই। তবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় গিয়ে মারামারি করেন বলে পুলিশ জানায়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের হওয়া মিছিলটি আন্দরকিল্লা এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় রাকিব নামের এই যুবককে ছুরি হাতে দেখা যায়। তিনি মূলত মারামারিতে ভাড়া যান। সবশেষ কয়েক দিন আগে আলকরণ এলাকায়ও একটি মারামারিতে ভাড়াটে হিসেবে অংশ নেন।

রাকিবের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় মারামারি ঘটনায় তিনটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।