হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ফটকের ভেতরে আসামি ও কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দর্শনার্থী এক ছাত্রদল নেতার সেলফি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছবি তোলার বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সোমবার ‘আবুল কালাম মিঠু’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘কারাবন্দী নেতাদের দেখতে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে আজ।’ পোস্টদাতা আবুল কালাম নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। গত সোমবার কারাবন্দী ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কারাগারে যান।
আবুল কালামের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, কারাগারের ভেতরে বন্দী আসামিদের সঙ্গে তাঁর একটি সেলফি আছে। পাশাপাশি একই পোস্টের আরেক ছবিতে দেখা যায়, একজন কারা কর্মকর্তা তাঁর অফিস কক্ষে বসে কাজ করছেন। এ ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই কারা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কয়েক ঘণ্টা পরেই ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয় ওই আইডি থেকে।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারটি সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল এলাকায় অবস্থিত। কারাবিধি অনুযায়ী, কারাগারের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের মুঠোফোন বাইরে রেখে যেতে হয়। কারাগারের প্রধান ফটকের নিরাপত্তারক্ষীরা সবাইকে তল্লাশি করে ভেতরে ঢুকতে দেন।
হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোছাব্বির বলেন, একজন দর্শনার্থীর কোনো আসামির সঙ্গে দেখা করতে হলে কিছু নিয়মনীতি আছে। সেই বিধি অমান্য করে একজন দর্শনার্থী আসামিদের সঙ্গে ছবি তোলা কারাবিধির লঙ্ঘন। তা ছাড়া মুঠোফোন সঙ্গে নিয়ে ঢোকাও অপরাধ। এ ঘটনায় কারাগারের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতেই পারে।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের কর্মকর্তা (জেলার) মাসুদ হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি অবগত। এ বিষয়ে তিনি জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন।
জেল সুপার মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা এ অভিযোগ পেয়েছি। ওই দিন যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’