বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর, কক্সবাজারে ৬ এবং মোংলা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বরিশাল বিভাগ বিশেষ করে বরিশাল ও ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবটা বেশি পড়তে পারে। এ জন্য বরিশাল-ভোলাসহ বিভাগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আজ ভোরে বরিশাল নগরে বৃষ্টি হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। এরপর বৃষ্টি কমলেও মেঘলা ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদসংকেত ও বরিশাল নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কসংকেত রয়েছে। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্দেশনার কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। রাতে বরিশাল-থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল করবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।