বরগুনায় বুক জোড়া লাগানো যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার দুপুরে শহরের শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে শিশু দুটির জন্ম হয়। বর্তমানে প্রসূতি মা সুস্থ আছেন। শিশুদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসূতি ওই মায়ের নাম মাহমুদা আক্তার (৩৪)। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার মধ্য কাজিরাবাদ এলাকার পোশাকশ্রমিক বাদশা মিয়ার স্ত্রী। আজ দুপুরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দেন।
প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর মাহমুদার আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। প্রতিবেদনে তাঁর যমজ সন্তানের কথা বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে জোড়া লাগানোর বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মাহমুদার প্রসববেদনা শুরু হয়। রাত পোহালে সকালে তাঁকে বরগুনা শহরের শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর যমজ সন্তানের জন্ম হয়।
মাহমুদার ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বোনের প্রসববেদনা ওঠার পর সকালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। দুপুরের দিকে সিজারের মাধ্যমে যমজ সন্তানের জন্ম হয়। যমজ সন্তানের কথা আগেই জানতাম। তবে জোড়া লাগানোর কথা কেউ বলেনি। আমার বোন সুস্থ আছে। তবে চিকিৎসকেরা দ্রুত বাচ্চা দুটিকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেছেন। এ জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমরা সবার সহযোগিতা আশা করছি।’
শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক জান্নাতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দুই-তিন বছর ধরে তিনি ওই হাসপাতালে প্রসূতিদের সেবা দিয়ে আসছেন। হাসপাতালে আনার সময় ওই প্রসূতির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বুক জোড়া লাগানো দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মা। এবারই প্রথম তাঁর কাছে এমন ঘটনা ঘটল বলে তিনি জানান।
এদিকে জোড়া লাগানো শিশুর জন্মের খবর পেয়ে অনেকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। ইমরান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বরগুনায় এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। তাই দেখার জন্য এখানে আসলাম।’