প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টা ২০ মিনিটে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে সকাল ৯টায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন। তিনি দাবি মানতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগার কথা জানিয়েছেন। তাই যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে এবং দাবি পূরণের আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
স্থানীয় লোকজন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে সব লোকাল ট্রেন ত্রিশালের আউলিয়ানগর স্টেশনে থামলেও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লোকাল কমিউটার ট্রেনটি থামে না। ট্রেনটি সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে আউলিয়ানগর হয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ও বিকেল চারটায় ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চরাঞ্চলের এলাকাটি থেকে শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহ শহরের স্কুল-কলেজে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় ধরে ট্রেনে চলাচল করেন। কিন্তু ট্রেনটি না থামার কারণে শিক্ষার্থীদের বাড়তি খরচ করে সড়কপথে কিংবা মেস ভাড়া করে শহরে থাকতে হয়। এ স্টেশনে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সে দাবি মানা হচ্ছিল না।
আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটি আউলিয়ানগর স্টেশনে এলে স্থানীয় জনতা রেলপথে লাল পতাকা দিয়ে ট্রেন আটকান। পরে ট্রেনের সামনে ব্যানার টানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন স্থানীয় লোকজন।
গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্দোলনকারীদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। বেলা ২টা ২০ মিনিটে আটকে পড়া ট্রেন ছেড়ে যায়। পুরো রেলপথে এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আন্দোলনের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকা পড়ে ছিল।