প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নথিপত্র চুরি করা হয়েছে। এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে অন্য নথিগুলো। আজ সোমবার
প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নথিপত্র চুরি করা হয়েছে। এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে অন্য নথিগুলো। আজ সোমবার

নাটোরে বিদ্যালয়ের কার্যালয় থেকে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নথিপত্র চুরি

নাটোর সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষের আলমারিতে রাখা ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর রেখে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগসংক্রান্ত নথিপত্র চুরি হয়েছে। গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময় এই চুরি সংঘটিত হয় জংলী আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে আজ সোমবার দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আলী হোসেন।

সদর থানা ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে তাঁর অফিস কক্ষের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তখন উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে তিনি অফিস কক্ষে ঢুকে স্টিলের আলমারি ও আলমারির তালা ভাঙা অবস্থায় দেখেন। আলমারির মধ্যে রাখা মূল্যবান ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর যথাস্থানে দেখতে পান। কিন্তু একই আলমারিতে রাখা শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগসংক্রান্ত নথিপত্র খুঁজে পাননি। বিষয়টি সবাইকে বিস্মিত করে। পরে প্রধান শিক্ষক সদর থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

প্রধান শিক্ষক মো. আলী হোসেন বলেন, চোর চুরি করলে আগে আলমারিতে রাখা ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর মেশিন নিয়ে যাবে। কিন্তু তা না করে নিয়োগের কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি কোনো সাধারণ চুরি নয়। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত নৈশপ্রহরীর কাছে কৈফিয়ত চাইলে তিনি সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর মেশিন রেখে নিয়োগের কাগজপত্র চুরির বিষয়টি নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুতই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।