বিএনপিকে ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দলটি যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। পরে বেলা দুইটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কয়েক দিন আগে বিএনপি প্রসঙ্গে আরেক নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার মন্তব্যটি উঠে আসে। রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে এলে তফসিল পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাশেদা সুলতানার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে আনিছুর রহমান বলেন, ‘দুই দিন আগেও আমাদের নির্বাচনের এক কমিশনার (রাশেদা সুলতানা) একটি দলের নাম নিয়ে বলেছেন, যদি তারা নির্বাচনে আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর।’
নির্বাচনের তফসিল পেছাতে জাতীয় পার্টির দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আসে এবং যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, তবে আমরা আলোচনা করে দেখব।’
নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত ৪৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে জানিয়ে আনিছুর আরও বলেন, ‘শতভাগ দল কখনোই নির্বাচনে আসেনি এবং অংশ নেয়নি। যখন অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, তখন নির্বাচনের একটা আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের সঙ্গে যারা রেজিস্টার্ড আছে, ৪৪টি দল, তারা সবাই অংশগ্রহণ করুক। এটাই আমরা চাই। আমাদের আহ্বান এখনো থাকবে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এখন পর্যন্ত যে শিডিউল দেওয়া আছে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সময় আছে। কাজেই আমরা আহ্বান করব, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।’
বিএনপি নির্বাচনে না এলে এর প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী, ৭০ ভাগ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে। ৭০ ভাগ যদি হয়ে থাকে, যদিও নির্বাচন কমিশন কত ভাগ, সেটি বিশ্লেষণ করেনি। যদি ৭০ ভাগই অংশ নিয়ে থাকে, তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই।’
নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না মন্তব্য করে আনিছুর বলেন, ‘নির্বাচন হয়ে যাবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে, না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নিশ্চয়ই এটা কারও কাম্য নয় নির্বাচন অনুষ্ঠান না করা, এটা কোনোমতেই কাম্য হতে পারে না।’