নওগাঁর পোরশা উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় আবদুল হালিম (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল হালিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ঘাটনগর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার পর থেকেই আসামি আবদুল হালিম পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ মে আবদুল হালিম পোরশা উপজেলার খাদখোড়া গ্রামে তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয় ভুক্তভোগী গৃহবধূর (২৮) বাড়িতে বেড়াতে এসে রাতে থেকে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হালিমকে শয়নকক্ষে খাওয়ার পানি দিতে এলে গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে আদালতে মামলার আরজি দায়ের করলে আদালত আরজিটি গ্রহণ করে মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ডের জন্য নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শুনে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটির পরিচালনা করেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।