নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ১২০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মামলায় উপজেলা বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমানসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল বেলা সোয়া একটার দিকে পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি মিছিল বের করলে পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়েন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে বিএনপির ১২ জন ও পুলিশের ৩ জন আহত হয়েছেন। ইয়াকুব (২৫) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তিনি আড়াইহাজার থানা যুবদলের সদস্যসচিব খোরশেদ আলমের ছোট ভাই।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর তাঁরা হামলা চালান। এ সময় ইয়াকুব নামের একজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, লাঠি, বাঁশ ও ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে।
বিএনপির দাবি, তাঁদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
মামলার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে। রাইফেল থেকে গুলি ছুড়েছে। এখন তারা আমাদের নামেই বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে। এটা একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা। আমরা এসব নিয়ে বিচলিত নই। আমরা এসব হামলা-মামলা নিয়েই দিনের পর দিন লড়াই করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইয়াকুব নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বিএনপি করেন না। তাঁর বড় ভাই যুবদলের সদস্যসচিব। তাঁকে অযথাই চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়েছে পুলিশ।’