মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক বাবুল হোসেন মোল্লা (৩০) হত্যার ঘটনায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন গোপালগঞ্জের দিকনগর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের বাসিন্দা শহীদ শেখ (৩৮) ও নজরুল শিকদার (৩৩)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের অম্বিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি খান (২৩)। তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি খান আজ আদালতে হাজিরা দেন। তবে রায় ঘোষণার আগেই তিনি পালিয়ে যান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর আগে ২০২১ সালের ২১ মার্চ রাতে ইজিবাইক ছিনতাই করতে চালক বাবুল হোসেন মোল্লাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে বাবুলের লাশ পুড়িয়ে ফেলেন আসামিরা। বাবুল মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের বাসিন্দা। ২১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চার যুবক মুকসুদপুরের বরইতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুলের ইজিবাইকটি ফরিদপুর শহরে আসার জন্য ভাড়া করেন। ফরিদপুর এসে ওই রাতেই যাত্রীরা ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার ঢালে বাবুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তাঁর লাশ পুড়িয়ে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে চলে যান।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ২৩ মার্চ দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে। পরে বাবুলের স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। ওই বছরের ২৪ মার্চ বাবুলের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।