জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নগর বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটি। পরে সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলসংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হঠাৎ মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে এই অবৈধ সরকার আবারও প্রমাণ করেছে তারা জুলুমবাজ ও গণবিরোধী। শুধু জনগণের টাকা লুট করতেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমেছে তারপরও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের রক্ত চুষে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। অবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানান বক্তারা।
জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে বক্তারা বলেন, এই সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাদের পতন আসন্ন, এই ঘটনা বুঝতে পেরে গণবিরোধী এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু জ্বালানি তেলের দাম নয়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের ওপর সমস্ত উৎপাদন এবং যোগযোগ নির্ভরশীল। সব মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সীমাহীন মুদ্রাস্ফীতির কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন। এর ওপর এখন আরেক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে দেশের মানুষের না খেয়ে মরা ছাড়া কোনো গতি থাকবে না। কিন্তু তাতে এই লুটেরা, ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ সরকারকে হঠাতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মহিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির। এ সময় মহানগর ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের আগে বেলা দুইটার দিকে নগরের পোর্ট রোড মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে জেলা ও নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।