ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আটক তরুণ বললেন, জেলে যেতে চান

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার ১২টি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুরের অভিযোগে এক তরুণ আটক হয়েছেন। পুলিশের জিজ্ঞাবাবাদে মো. নাসির উদ্দিন (২৫) নামের ওই তরুণ দাবি করেছেন, কারাগারে যাওয়ার জন্য তিনি এই ভাঙচুর চালিয়েছেন। তাঁকে আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার এক উপপরিদর্শক।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নাসির উদ্দিনের (২৫) বাড়ি হরিপুর উপজেলার গেদুরা মারাধার গ্রামে।

হামলার সময় দায়িত্বে ছিলেন কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী হরকান্ত রায়। তিনি জানান, তিনি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার পেছন দিকে ছিলেন। সে সময় কিছু একটা ভাঙার শব্দ শুনে সামনে দিকে চলে আসেন। এসে দেখতে পান এক ব্যক্তি একের পর এক বেলচা দিয়ে জানালায় আঘাত করছেন। ওই ব্যক্তিকে আটকাতে গেলে তিনি তাঁর ওপর আঘাত করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশে খবর দেন হরকান্ত।

ভাঙচুর হওয়া জানালা

ভাঙচুরের পর হাতে বেলচা নিয়েই পালিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির উদ্দিন। সে সময় ঢাকায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে নিয়ে ফিরছিলেন সদর থানার উপপরিদর্শক আল মামুন। ঘটনা দেখে তিনি আটকাতে গেলে নাসির তাঁর ওপরও হামলা চালান। এতে মামুন আহত হন। পরে আরও পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আবদুল হালিম নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একটি মোটরসাইকেলে এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়ান ওই ব্যক্তি। এরপর সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যান। পরে ওপর থেকে কাচ ভাঙচুরের আওয়াজ শোনা যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতে বেলচা নিয়ে নিচে নেমে আসেন।

আটক তরুণ নাসির উদ্দিন

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সভাকক্ষ, বঙ্গবন্ধু অদম্য কর্নারসহ ১২ কক্ষের ২৯টি জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্ষগুলোর দরজাও ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই তরুণ একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে তাঁকে নানা কারণে মারধর করা হয়। জেলে যাওয়ার জন্য এ ভাঙচুর করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, যেকোনো সরকারি দপ্তরের কার্যালয় গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কার্যালয় ভাঙচুর খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার ভেতরে প্রবেশ করে এর পেছনের ঘটনা কী, তা বের করার চেষ্টা করা হবে।