নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক লুনা ফেরদৌসের কার্যালয়ে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা চান।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়া নোটিশের জবাবে আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান যে অভিযোগ করেছেন, তা বিদ্বেষপ্রসূত। তিনি (ওয়াদুদ) রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের যাঁরা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত, তাঁদের তিনি আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কী ধরনের নির্দেশনা আছে, সেটা শুধু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কোনো ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে তিনি কখনো অশালীন, অশোভনীয়, তিক্ত বা উসকানিমূলক বক্তব্য দেননি। তারপরও তাঁর বক্তব্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হলে তিনি দুঃখ প্রকাশসহ নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
আব্দুল ওয়াদুদকে দেওয়া নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল গতকাল সোমবার। তিনি সময়ের আবেদন করেছিলেন। এর আগে গত শনিবার তাঁকে সশরীর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়।
আব্দুল ওয়াদুদ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নাকে খত দিয়ে নৌকার ছায়াতলে না এলে চিরতরে নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক ঈগলকে ব্যঙ্গ করে ‘কাউয়া-বাদুড়’ সম্বোধন করেন বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এটি প্রচারিত হয়। পরে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আব্দুল ওয়াদুদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুস সামাদ মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ সশরীর হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান অভিযোগটি খারিজ করে দিয়েছেন।