ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ও দীর্ঘদিন সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অতিসত্বর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’ তবে জেলা ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহ মো. আবু জাফরের পক্ষে বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌর বিএনপির অধিকাংশ নেতা কাজ করায় কমিটি দুটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দুটি কমিটির মেয়াদ ৮-৯ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। কমিটির অনেকে মারা গেছেন ও নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পদধারী অনেক নেতা শাহ জাফরের পক্ষে কাজ করেছেন। এ জন্য কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী কমিটি দুটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন দলীয়ভাবে বর্জন করে বিএনপি। বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর দল ত্যাগ করে ‘কিংস পার্টি’খ্যাত বিএনএমের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জামানত হারান। নির্বাচনে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির অধিকাংশ নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শাহ জাফরের পক্ষে নির্বাচন করেন।
সদ্য বিলুপ্ত বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অনেক আগেই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি গত সংসদ নির্বাচনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির অনেক পদধারী নেতা বিএনএমের হয়ে শাহ জাফরের পক্ষে কাজ করেছেন। এখনো তাঁরা বিএনএমের রাজনীতি করে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বেড়াচ্ছেন। এতে দলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি বিলুপ্ত করা ছাড়া জেলা কমিটির কোনো উপায় ছিল না বলে তিনি মনে করেন।