‘আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। কিন্তু তাঁদের ছেলেপেলে, তাঁদের পরের প্রজন্ম কোটা প্রথার বিষয়ে খুব একটা নীতির মধ্যে আসে না। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা বাধা হতে পারে। দেশের সংবিধানে আছে, কোটা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। সংবিধান অনুযায়ী, এ কোটা প্রথা বৈধ করার কোনো উপায় নেই।’
আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের এ কথা বলেন।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থা ভালো নয়, সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অথচ মানুষের আয় বাড়ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, মজুরির দাম কমছে। ডলারের সঙ্গে আমাদেরও টাকার মানের অবমূল্যায়ন হচ্ছে। খালি কর্মিবাহিনী জোগালেই সংগঠন শক্তিশালী হবে না। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের রাজনীতি দিতে হবে। জনগণ যে রাজনীতি চায়, তাদের সেই রাজনীতি দিতে হবে। রাজনীতি করতে হলে কষ্ট করতে হয়, কষ্টের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। যেকোনো সময় যেকোনো বিপদে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই সংগঠন এগিয়ে যাবে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান মণ্ডল।
সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মিয়াকে জেলা জাপার সভাপতি এবং মো. কামরুজ্জামান মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। তাঁদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন কাদের।