২০ দিন পর বাড়ি ফিরলেন ‘নিখোঁজ’ ব্যাংক কর্মকর্তা

ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২০ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা বাড়িতে ফিরেছেন। পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন।

ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম রাজীব আহমেদ (৪০)। তিনি পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। রাজীব ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে দাবি ছিল পরিবারের। ওই দিন রাতেই কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন। এ ছাড়া তাঁকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন পরিবারের লোকজন।

ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীবের স্ত্রী রায়হানা পারভীনের ভাষ্যমতে, তাঁর স্বামী (রাজীব) নিখোঁজের পর থেকে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি খোকসাতে আছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর স্বামী ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি (রায়হানা) কোথায় আছেন। বাড়িতে থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, ‘আসতেছি’। এর ঘণ্টাখানেক পর তিনি বাড়িতে এসে বলেন, ‘আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ ও ক্লান্ত, আমি এখন ঘুমাব।’ এ জন্য তাঁকে আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে তাঁর ফিরে আসার খবর শ্বশুরবাড়ি ও পুলিশকে জানান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে তাঁকে কুমারখালী থানায় নিয়ে যান। সঙ্গে তিনিও ছিলেন। থানা থেকে জিডি তুলে নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ভেড়ামারায় নিয়ে যান।

ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের পারিবারিক কলহ চলছিল। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত শুক্রবার রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে জানতে পারেন, রাজীব ফিরে এসেছেন। পরে তাঁরা গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজীব আহমেদ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি মানসিকভাবেও কিছুটা বিপর্যস্ত। নিখোঁজের পর থেকে তিনি একাধিক সিমও ব্যবহার করেছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায়, খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।