কয়েক দিনের টানা তাপপ্রবাহের পর নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তাপদাহের মধ্যে বৃষ্টির দেখা পেয়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে ভিজতে রাস্তায় নেমে আসেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন কেউ কেউ।
আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ মিনিটের মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর পাশাপাশি মেঘের গর্জন শোনা যায়। সিদ্ধিরগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্য কয়েকটি এলাকাতেও বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজে গেছে।
স্বস্তির বৃষ্টিতে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার গৃহিণী মার্জিয়া রহমানকে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এবারের মতো গরম আগে কখনো পড়েনি। প্রচণ্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। সারা দেশের মানুষের মতো তিনিও বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন। তবে কিছু সময়ের জন্য হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
একই এলাকার আইনজীবী নুসরাত জাহানও অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে স্বজন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দ্রুত শেষ হওয়ায় ভিজতে পারেননি বলে জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকায় বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজে গেছে। অন্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।