রংপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ শীর্ষ নেতাসহ ৫ নেতা-কর্মীর ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১–এর বিচারক কৃষ্ণ কান্ত রায় এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা–কর্মীরা হলেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাহফুজ উন নবী, মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম, জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারেক হাসান ও যুবদল কর্মী আরিফ হোসেন। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় মাহফুজ উন নবী উপস্থিত ছিলেন। অন্য চারজন পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায়ে আমরা হতবাক। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।আফতাব হোসেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী
এদিকে মামলায় সাত আসামির মধ্যে দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই দুজন হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ এবং জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক।
রংপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মালেক রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ১৯ মে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের হরতালের আগের রাতে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে অগ্নিসংযোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ আসামিদের হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছে থেকে ৫৬টি চকলেট বোমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং জেরা শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে আজ এ রায় দেওয়া হলো। রায় ঘোষণার সময় মাহফুজ উন নবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতালের দিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মাহফুজ উন নবীকে আটক করে পুলিশ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব হোসেন জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায়ে আমরা হতবাক। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’