শারীরিক কাঠামো, খাদ্যাভ্যাস ও চালচলনের কারণে খামারি, ক্রেতা ও স্থানীয় লোকজনের কাছে ষাঁড়টি ‘মতলবের রাজা’ হিসেবে পরিচিত। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড়ের মালিক ক্রেতাদের কাছে এর দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে একজন ক্রেতা আট লাখ টাকা দরদাম করেও কিনতে পারেননি।
‘মতলবের রাজা’র মালিকের নাম ইলিয়াস দেওয়ান। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়নের রাঢ়িকান্দি গ্রামে। ইলিয়াস দেওয়ান একজন গরু বিক্রেতা ও খামারি।
ইলিয়াস দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য আড়াই বছর ধরে তিনি তাঁর খামারে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। বর্তমানে এর ওজন ২৫ মণ, অর্থাৎ ১ হাজার কেজি। উচ্চতা পাঁচ ফুটের বেশি। হলেস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে স্থানীয় এক ধনাঢ্য ক্রেতা আট লাখ টাকা পর্যন্ত দরদাম করেছেন। আরও কিছু ক্রেতা এটি কেনার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ১০ লাখ টাকার কম মূল্যে তিনি এটি বিক্রি করবেন না।
ইলিয়াস দেওয়ান বলেন, ষাঁড়টির যত্ন-আত্তি, ভরণপোষণ ও লালন–পালনে অনেক টাকা খরচ করছেন। আড়াই বছর ধরে প্রাকৃতিক খাবার, যেমন খড়, ঘাস, ছোলা, মসুরের ডাল, ভুসি, ভুট্টার আটা, খইল, ধানের গুঁড়াসহ বিভিন্ন খাবার খাইয়ে পালন করেছেন এটি। ফলমূলও খাওয়াচ্ছেন ষাঁড়টিকে। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন ষাঁড়টির পেছনে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস বলেন, ষাঁড়টি তিনি দেখেছেন। এর খোঁজখবর রাখছেন। এটি ১৬৮ নম্বর প্রুভেন ব্লুর সিমেনের হলেস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। এটিসহ যেকোনো কোরবানির পশু অসুস্থ হলে তাঁর কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য পশু বিক্রেতা ও খামারিদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।