বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে চলমান ফেরি থেকে নদে পড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ তিন দিন পর ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। আজ সোমবার ভোরে ফেরির পন্টুনের পাশে নিখোঁজ বৃদ্ধ ফজলুল হকের (৭০) লাশ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদে ফেরি পার হওয়ার সময় ফজলুল হক পড়ে ডুবে যান। ফজলুল হক পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চর খোলপটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ ভোরে নদ থেকে লাশ উদ্ধারের পর মোরেলগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিস। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ ফজলুল হকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোরেলগঞ্জে স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইনস্ট্রাক্টর প্রবীর দেবনাথ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই নিখোঁজ ফজলুল হককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করি। নদের গভীরতা ও স্রোতের কারণে আমরা ওই বৃদ্ধের মরদেহ খুঁজে পাইনি। পরে ভাসমান অবস্থায় আমরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছি।’
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন বলেন, নদে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফজলুল হকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।