কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ডাকাতির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন তাঁরা

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ঢাকার দোহারে বসতঘরে ঢুকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে মালামাল লুটের ঘটনায় ডাকাত দলের সরদারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত সোনার কানের দুল ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, এ ডাকাত চক্র কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় অপর ডাকাতদের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে ডাকাতির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আলী ওরফে মুরব্বি ওরফে সরদার (৫৫), আল আমিন (২৫), রাকিব হোসেন (২৩) ও জাফর আলী (৩৬)। দোহারে বসতঘরে ডাকাতির মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) আশরাফুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে দোহারের দক্ষিণ রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ছন্দু মোল্লার বসতঘরের দরজা ভেঙে সাত থেকে আটজন ডাকাত সদস্য ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় ডাকাতেরা ছন্দু মোল্লার ছেলে রেজাউল করিমকে কুপিয়ে জখম করেন। একপর্যায়ে ডাকাতেরা ওই পরিবারের সদস্যদের দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ঘরে লুটপাট চালান। এ সময় তাঁরা সোনার চেইন, কানের দুল, মুঠোফোনসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ১৯ নভেম্বর ছন্দু মোল্লা বাদী হয়ে দোহার থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে পুলিশ ওই এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দোহার ও রাজধানীর তুরাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্র, একটি সেলাই রেঞ্জ, একটি প্লাস, ছোরা ও চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

আশরাফুল আলম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশর বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতিসহ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ছদ্মবেশে ডাকাতির তথ্য সংগ্রহ করতেন। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী সবার কাছে মুরব্বি বা সর্দার হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় ডাকাত দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ডাকাতি করে আসছিলেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় অপর ডাকাতদের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে ডাকাতির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।