সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন তরুণী। দুই তরুণ তাঁদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে তাঁরা মারধর করেন। হামলায় আহত কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার রাতে মারা গেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার একটি মামলা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামে ২৬ অক্টোবর এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মিজানুর রহমান (১৭)। সে পাইলগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৬ অক্টোবর পাইলগাঁও বিএন উচ্চবিদ্যালয়ে নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছিল। সেখানে কাতিয়া গ্রামের লোকমান মিয়া (২০) ও নয়াকসবা গ্রামের আরুম্মান মিয়া (১৯) লাইনে দাঁড়ানো মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। এর প্রতিবাদ করে মিজানুর। এর জের ধরে লোকমান ও আরুম্মান সেখানেই তাকে মারধর করেন। পরে স্বজনেরা মিজানুরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এক দিন চিকিৎসার পর স্বজনেরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তরুণের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া বলেন, বখাটেরা তাঁর ভাইয়ের মাথায় আঘাত করেছিলেন। তিনি হামলাকারী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মিজানুরের বাবা ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে আজ জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেছেন। কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা দুজন পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।