মাদারীপুরে রফিকুল ইসলাম (২২) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র ৪৮ দিন নিখোঁজ। তাঁর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নতুন শহর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রফিকুলের পরিবারের দাবি, তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। র্যাব, ডিবি ও সেনাবাহিনীর দপ্তরে রফিকুলের সন্ধান চেয়ে বারবার ধরনা দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
নিখোঁজ রফিকুল ইসলাম শরীয়তপুরের সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ কেবলনগর বক্তারকান্দি গ্রামের আবদুল জলিল বক্তারের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আদর্শনগর এলাকার জামেয়া তালিমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। রফিকুল মাদারীপুর শহরের কুলপদ্বী এলাকায় বোনের বাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকেই গত ১ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুলের বড় ভাই তাজুল ইসলাম ফারুকী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কুলপদ্বী এলাকার বোনের বাসা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাদ্রাসার উদ্দেশে বের হয় রফিকুল। পরে আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি তার। পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করি। কিন্তু রফিকুলকে উদ্ধারে কোনো সহযোগিতা করেনি পুলিশ। পরে র্যাব, ডিবি ও সেনাবাহিনীর কাছেও বারবার গেছি। তারাও কোনো সাড়া দেয়নি। শুধু বলেছে, এটা পুলিশের কাজ, পুলিশ করবে।’
রফিকুলের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামও কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের এখন একটাই চাওয়া, যেকোনো মূল্যে আমরা ভাইকে ফেরত চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রফিকুলের বাবা আবদুল জলিল বক্তার, রফিকুলের দুলাভাই আবদুল হাসিবসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, মাদ্রাসাছাত্র রফিকুলকে খুঁজে পেতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত তাঁকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।