ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ খননের বালু বিক্রি করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জয়নব বেগম (৬৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বোরোরচর ইউনিয়নের মৃধাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়নব বেগম সদর উপজেলার বোরোরচর ইউনিয়নের মৃধাপাড়া গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী। সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির এক ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন জয়নবের ছেলে মিলন (৩৫) ও মৃধাপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ইসমাইল (৩৫) ও জহুর উদ্দিন (৪৫)। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের খননকাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিহবন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)। নদ খননের বালু প্রথমে নদের কাছাকাছি এলাকায় স্তূপ করে রাখা হয়। পরে নিলামে সেই বালু বিক্রি করে জেলা প্রশাসন। কয়েক মাস আগে বোররচর ইউনিয়নের মৃধাপড়া গ্রামের কিছু জমিতে নদ খননের বালু রাখা হয়। নিলামের আগে ওই বালুর দখল নিয়ে মৃধাপড়া গ্রামের জালাল ও রব্বানী নামের দুজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধের জেরে আজ দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে একধরনের বাঁশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জালালের পক্ষের জয়নব নিহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জালাল ও রব্বানীর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। নানা বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন আগেও মারামারি করেছে। সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র নদ খনের বালু অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি নিয়ে পুরোনো বিরোধ নতুন করে দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে পরিকল্পিভাবেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস আগে মৃধাপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের বালু রাখা হয়। কিন্তু ওই বালু নিলামে বিক্রি হয়নি। ওই বালু নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।