ফরিদপুরে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের বাড়ির সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

ভেঙে ফেলা সাইনবোর্ড
ছবি: প্রথম আলো

একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের বাড়ির সামনে তাঁর নাম–সংবলিত সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সাইনবোর্ডটি ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌরসভার নূরপুর মহল্লায় তারেক মাসুদের বাড়ির সামনে স্থাপন করেছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

তারেক মাসুদের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মাসুদ আজ সোমবার বলেন, ‘কারা এটি ভেঙেছে, কখন ভেঙেছে, আর কেন ভেঙেছে—আমরা বলতে পারছি না। তবে গতকাল রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করেই দেখলাম সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে। একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকারের নাম–সংবলিত সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।

তারেক মাসুদের জন্মস্থান এবং সমাধি ভাঙ্গা পৌরসভার নূরপুর মহল্লায়। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’–এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।

তারেক মাসুদ নূরপুর গ্রামের মসিউর রহমান মাসুদ-নূরুননাহার দম্পতির ছেলে। তাঁর বাবা ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই (তারেক) সবার বড়।

মুক্তির গান, মাটির ময়না, আদম সুরত, রানওয়েসহ বিভিন্ন সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে গেছেন তারেক মাসুদ।