টর্নেডোতে বিধ্বস্ত একটি বসতঘর। আজ বুধবার সাকলে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যাহপুরের কাটাবুনিয়া গ্রামে
টর্নেডোতে বিধ্বস্ত একটি বসতঘর। আজ বুধবার সাকলে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যাহপুরের কাটাবুনিয়া গ্রামে

নোয়াখালীতে টর্নেডোতে ১১টি বসতঘর বিধ্বস্ত

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানউল্যহ ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ১১টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে আজ বুধবার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আকস্মিকভাবে টর্নেডো শুরু হয়। এক-দুই মিনিট স্থায়ী টর্নেডোর আঘাতে চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম, মো. রাশেদ, নুরুল হক, মো. আজাদ ও আবুল কামের বসতঘরসহ ১১টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উপড়ে পড়েছে বাড়ির অনেক গাছপালা। ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের লাইনের তার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

খবর পেয়ে আজ বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আকস্মিক টর্নেডোতে সুবর্ণচরের চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের কয়েকটি বাড়ির কমপক্ষে ১১টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। বাকিগুলো আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি যাওয়ার সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য কিছু শুকনো খাবার নিয়ে গেছেন। শিগগিরই তাদের ঘর নির্মাণে আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।