দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও এক বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) ডারবান শহরে নিজ দোকানের সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেন (৪২) নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে। ডারবান শহরের একই এলাকায় বসবাসকারী স্বজনদের মাধ্যমে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারেন।
এর আগে ৩ মার্চ রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের মো. হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মো. মহিন ভূঁইয়া (৩২) ও তাঁর স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। রুনা উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির মো. লিটনের মেয়ে।
নিহত ইকবাল হোসেনের শ্যালক মো. বিপ্লব প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় সাত বছর আগে তাঁর ভগ্নিপতি জীবিকার সন্ধানে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। বাড়িতে তাঁর দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। গতকাল স্থানীয় সময় আনুমানিক সাতটার দিকে তাঁর ভগ্নিপতি দোকান বন্ধ করেন। এরপর দোকানের সামনে স্থানীয় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মো. বিপ্লব আরও জানান, কয়েক মাস আগে ওই দোকানে চুরি করেছিল দুর্বৃত্তরা। তখন অনেক টাকার মালামাল লুট হয়। এবার দুর্বৃত্তরা তাঁর ভগ্নিপতিকেই চিরতরে শেষ করে দিল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে তাঁর বোন ও দুই সন্তান চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাঁর ভগ্নিপতি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর থেকে আর বাংলাদেশে আসতে পারেননি। ১৫ মার্চ তিনি দেশে ফেরার জন্য উড়োজাহাজের টিকিটও কেটেছিলেন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনবাগের কেশারপাড় গ্রামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ বাংলাদেশে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।