নাটোরে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করলেন শিক্ষার্থীরা

নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া হাটবাজারে ১০ টাকা খাজনা আদায়ের রসিদ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। আজ শনিবার তোলা ছবি
সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদরে হাটবাজারের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়া হাটবাজারের এই অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার জন্য ইজারাদার নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন।

ওই হাটের ইজারাদারের নাম অনুকূল সাহা। তিনি বনপাড়া পৌর এলাকার দিয়াড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। অনুকূল সাহা বড়াইগ্রাম উপজেলা সদরের বনপাড়া হাটবাজার ইজারা নিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থী আদনান আহমেদ, মারুফ মজুমদার ও জয়নুল আবেদিন বলেন, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া বাজারে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন তাঁরা। এ সময় একজন তাঁদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তাঁর কাছ থেকে ৪০ টাকা খাজনা নিয়ে রসিদ দিয়েছে ১০ টাকার। তাৎক্ষণিক তাঁরা হাটে গিয়ে দেখতে পান, সরকার নির্ধারিত খাজনা ১০ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। আদায়কারীরা ১৭০ টাকা নিয়ে রসিদ দিচ্ছে ৪০ টাকার। এভাবেই হাটবাজারের প্রতিটি দোকান থেকে সরকারি নির্ধারিত খাজনার পরিবর্তে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি জানার পর তাঁরা ইজারাদারের কার্যালয়ে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চান। এ সময় ইজারাদারের কর্মচারীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তখন ইজারাদারের কর্মচারীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কথা স্বীকার করেন এবং এর জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে তাঁরা আর অতিরিক্ত খাজনা নেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, হাটের ইজারাদার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। কোনোভাবেই হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে দেওয়া হবে না।