কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে
কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে

কোটা সংস্কারের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার অষ্টম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তাঁরা চান, ‘বৈষম্যমূলক ও অন্যায্য’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করা হোক।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ কর্মসূচি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আধা ঘণ্টা, সোমবার সোয়া চার ঘণ্টা, রোববার দুই ঘণ্টা, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৩৫ মিনিট ও বুধবার পৌনে দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া গত সোমবার ১০ মিনিট ও গত মঙ্গলবার ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

আজ সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে তাঁরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের কবিতা, গান এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

অবরোধ চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রশিদ বলেন, ‘২০১৮ সালে আমাদের আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কারের আন্দোলন, এখনো আমরা সেটি বলছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, সব ধরনের বৈষম্যমূলক এবং অন্যায্য কোটাগুলো বাদ দিতে হবে। শুধু সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা সংস্কার করে আইন পাস করতে হবে।