কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামে ইসহাক আলীর ছেলে আবু মুছা (১৮) ও একই উপজেলার যদুবয়রা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পারভেজ হোসেন (১৮)। তাঁরা দুজনই খোকসা শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে কলেজ শেষ করে মুছা ও পারভেজ মোটরসাইকেল নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পদ্মা গড়াই পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মুছা ও পারভেজের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মুদিদোকানি আক্তার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি একটি মোটরসাইকেলকে কুষ্টিয়ার দিকে যেতে দেখেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির বাসটি ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। তিনি ও স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে উদ্ধার করার আগেই মোটরসাইকেলে থাকা দুজন মারা যান।
নিহত মুছা ও পারভেজের সহপাঠী হাসান আলী বলেন, কলেজ শেষে তাঁরা চার বন্ধু দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘুরে বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তিনি সামনের মোটরসাইকেলে ছিলেন। পেছনে আরেক মোটরসাইকেলে মুছা ও পারভেজ ছিল।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কটি পাইকপাড়া এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধে উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
খোকসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত ছাত্রদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। হাইওয়ে পুলিশ এসে তাঁদের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। দুই ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।