চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানচিত্র
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানচিত্র

৫০টি গাছ লাগানোর শর্তে কারামুক্ত হলেন ২ তরুণ

আট মাস আগে ১৮৫ গ্রাম গাঁজাসহ র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েন নাসির উদ্দীন ও সিয়াম আলী নামের দুই তরুণ। গ্রেপ্তারের এক মাস পর তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ৫০টি গাছ রোপণ ও পরিচর্যার শর্তে ওই দুই তরুণকে জামিন দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি কাজটি ঠিকমতো করলে এক মাস পর তাঁদের মামলা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হ‌ুমায়ূন কবীর গতকাল বুধবার দুপুরে ওই রায় দেন। বিশেষ শর্তে মাদক মামলায় কারামুক্ত হওয়া নাসির উদ্দীন সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের বারঘরিয়া বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা ও সিয়াম আলী বারঘরিয়া জামাদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে নাসির উদ্দীন ও সিয়াম আলীকে আটক করে র‍্যাব। পরে র‍্যাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এক মাস পর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. দারেশ আলী। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর সংশোধনের উদ্দেশ্যে তাঁদের কারামুক্তির আদেশ দেন।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ওই দুই তরুণকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় ৫০টি ফলদ বা বনজ গাছ লাগাতে হবে। এরপর গাছে পানি দেওয়াসহ এক মাস তাঁরা গাছের পরিচর্যা করবেন। ওই কাজের তদারক করবেন ইউপি চেয়ারম্যান। এক মাস পর কাজটি ঠিকমতো হয়েছে বলে চেয়ারম্যান আদালতে প্রতিবেদন দিলে তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেবেন আদালত। এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা আজ বৃহস্পতিবার ওই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

জানতে চাইলে বারঘরিয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত তিনি আদালতের এমন কোনো নির্দেশনা পাননি। ওই তরুণেরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তবে যেদিন থেকে কাজ শুরু হবে, সেদিন থেকেই দিন গণনা শুরু হবে। আদালতের নির্দেশনা ভালোভাবে প্রতিপালনের পরই আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহীন আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে খুবই খুশি হয়েছি। আদালতে আসামিরা দায় স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন মর্মে জবানবন্দি দেন। আদালত তাঁদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে এই রায় দিয়েছেন।’