রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের বেতুড়া গ্রামে দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় স্বজন, এলাকাবাসী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী থেকে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে শাহরিয়ারের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বন্ধুবান্ধব-শিক্ষক তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসেন। ছেলের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহরিয়ারের মা-বাবা ও স্বজনেরা। শাহরিয়ারকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। শাহরিয়ারের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্তের দাবি জানান।
শাহরিয়ারের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্তের দাবি জানান।
শাহরিয়ারের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার শান্তশিষ্ট ছেলেটার এভাবে মৃত্যু হলো। কয় দিন পরে বাড়িতে আসবে বলে ফোন করে জানিয়েছিল। সেই ছেলে আমার লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল।’
শাহরিয়ারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ছেলের এমন মৃত্যুর খবর পাব ভাবিনি। আমার ছেলে কখনো কারও ক্ষতি করেনি। মৃত্যুর আগেও বাড়িতে কথা বলেছিল। বাড়ির সবার খোঁজ নিয়েছে। কিছুক্ষণ পরেই মারা যাওয়ার খবর পাই। আর কারও সন্তানের যেন এমন মৃত্যু না হয়।’
নিহত শাহরিয়ার তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই গোলাম সারোয়ার গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। একমাত্র বোন মুস্তারিন জাহান দিনাজপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে।
শাহরিয়ার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।