ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে আজ শনিবার দুপুরে। তবে আজ শনিবার সকাল ছয়টার পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলের দিকে যেতে শুরু করেছেন। সমাবেশস্থলের প্রবেশমুখ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মোট চারটি পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশিচৌকি দেখা গেছে। পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে আসা নেতা-কর্মীদের এসব তল্লাশিচৌকি এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর সেখান থেকে নেতা-কর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।
আজ সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, বদরপুরের মোড় ও বাহিরদিয়া সেতু এলাকা এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে পুলিশের তল্লাশিচৌকি দেখা গেছে। এসব তল্লাশিচৌকিতে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দীন ভূঁইয়াসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওই তিন পয়েন্টে থেকে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কারও যানবাহনই সমাবেশস্থলের দিকে যেতে পারছে না। তবে সমাবেশস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীবাহী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে। তবে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়িগুলো সেখানে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এদিকে সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাসহ শহরের কোনো পয়েন্টেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আজ সকাল থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা মূলত ফরিদপুর শহর, শহরের আশপাশের এলাকা ও নগরকান্দা উপজেলা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উচ্ছ্বাস নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। এ সময় তাঁদের মাথায় রঙিন টুপি ও গায়ে একই রঙের টি-শার্ট দেখা গেছে।
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুজ্জামান বলেন, তাঁরা পিকআপ ভ্যানে শতাধিক নেতা–কর্মী নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। তবে পথে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। এসব বাধা আসবে সেটা তাঁরা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দাবি, পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে বাধা দিয়ে ও তল্লাশি করে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কাজটি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লেলিয়ে দিয়েছে। তবে এসব বাধার কারণেই সমাবেশ আরও জোরদার হবে। সব বাধা পেরিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বিএনপির সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতেই সমাবেশস্থলের আগেই গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কে যেন যানজটের সৃষ্টি না হয় সে জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।