রাজশাহীর সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারি বাসভবনের সীমানার ভেতরে গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ গাছ কাটার জন্য তিনি বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেননি। তবে সিভিল সার্জনের দাবি, একটা পড়ে যাওয়া গাছ সরানো হয়েছে, কোনো গাছ তিনি কাটেননি।
রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবনের সারিতেই রয়েছে সিভিল সার্জনের বাসভবন। এর সীমানার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ। সীমানাপ্রাচীর থাকার কারণে এর ভেতরে কোনো গাছ কাটলে বাইরে থেকে তেমন বোঝা যায় না। গত শনিবার দিবাগত রাতে একটি সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে এই সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে দুটি মেহগনি, একটি রেইনট্রি ও একটি বড় জামগাছ কাটা হয়। আজ সোমবার সকালে গাছের গুঁড়িগুলো টুকরা টুকরা করা হচ্ছিল। সূত্রটি জানায়, বাসার আসবাবপত্র তৈরির জন্য এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে।
আজ সকালে প্রথম আলোর আলোকচিত্রী এই কাটা গাছের ছবি নেওয়ার জন্য গেলে তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি দেয়ালের ওপরে উঠে গাছ কাটার ছবি ধারণ করেন। সে সময় তিনি দেখতে পান ভেতরে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে দুটি গাছের গোড়া কাটা হচ্ছে। দুটিই মেহগনি গাছ। এছাড়া আগের কাটা গাছের গুঁড়ি টুকরা টুকরা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক দাবি করেন তিনি কোনো গাছ কাটেননি। কাটার গাছের ছবি থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গাছ পড়ে গিয়েছিল, সেটিই সরানোর কথা। গাছ তো কাটার কথা নয়। নিজের বাড়ির আসবাবপত্র তৈরির জন্য গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি তো এখানে স্থায়ীভাবে থাকেন না। আসবাবপত্র কী করবেন। ঢাকার বাড়ির জন্য নাকি আসবাবপত্র বানানো হবে—তার জন্যই নাকি গাছ কাটা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ অভিযোগ একদম সঠিক নয়।
গাছ কাটতে হলে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, বন বিভাগের কোনো অনুমতি তিনি নেননি।