২৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহা. আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার বাদী হয়ে আজ বুধবার রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি করেন।
আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মোহা. আতাউল হক খান চৌধুরী বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চৌধুরী বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। তবে বর্তমানে তাঁর পরিবার ঢাকায় বসবাস করে।
আতাউল হক ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই কলেজে থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়।
দুদক ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, আতাউল হক পাংশা কলেজের দায়িত্বে থাকাকালে কলেজের পৌরকর বাবদ ২২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০ টাকা উত্তোলন করে পৌরসভায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি পাংশা সরকারি কলেজে কর্মরত থাকাকালে ভ্রমণ দেখিয়ে ৭ লাখ ১ হাজার টাকা ভ্রমণ ভাতা বিল আত্মসাৎ করছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। মোট ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করেছে দুদক।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে আতাউল হক খান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টার পর তিনি ফোন ধরেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মিছা অভিযোগ।’ এরপর ‘মিটিংয়ে আছি’ বলেই ফোন কেটে দেন।