বোয়ালখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় রুমা আকতার (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরখিজিরপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। রুমার ভাইয়ের দাবি, মানসিক নির্যাতনে রুমার মৃত্যু হয়েছে।

রুমা পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের চরখিজিরপুর গ্রামের মোবারক আলীবাড়ির ওমানপ্রবাসী আবু তৈয়বের স্ত্রী। তাঁদের দুই বছরের এক ছেলে আছে।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের ছাদের সিলিং ফ্যানের পেছনের থাকা রডের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় রুমাকে ঝুলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ফাঁস লাগানোর কারণে তাঁর গলায় একটি দাগ দেখা গেছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

রুমার ভাই লোকমান অভিযোগ করে বলেন, শ্বশুরবাড়ির মানসিক নির্যাতনের কারণেই রুমার মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সম্পদশালী হওয়ায় তাঁর বোনকে প্রায় দিনই মানসিক নির্যাতন করা হতো। তাঁর বোনের স্বামী প্রবাসে থাকলেও স্ত্রীর সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতেন না। রুমার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নেই। তাই শাশুড়ির মুঠোফোন থেকে মাঝেমধ্যে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে হতো।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রুমার শাশুড়ি লায়লা বেগম বলেন, রুমা তাঁর ছেলে ও ১০ বছরের ননদকে সঙ্গে নিয়ে রাতে এক কক্ষে ঘুমান। গতকাল রাতেও রুমা ছেলে ও ননদকে নিয়ে ঘুমাতে যান। এর আগে রাতে রুমা স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রুমার ছেলের কান্নার শব্দে সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে ঘরের বাইরে এসে তাঁরা দেখতে পান, বাড়ির অন্য একটি কক্ষে রুমার লাশ ঝুলে আছে। রাতে রুমা কখন আত্মহত্যা কখন করেছেন অথবা স্বামীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সেটা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের লাশ উদ্ধারের পর আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।