চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে মহাসড়কের সাতকানিয়ার মাদারবাড়ি মডেল মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর পরপরই সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমানসহ থানা-পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বাসে আগুন দেওয়ার এ ঘটনাকে নাশকতার অংশ বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রাতের বেলা মহাসড়কের মাদারবাড়ি মডেল মসজিদ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়।
গতকাল রোববার রাতেও ওই এলাকায় পাশাপাশি দুটি শ্যামলী পরিবহন ও একটি হানিফ পরিবহনের বাস রেখে চালকেরা বাড়িতে চলে যান। আজ ভোররাত চারটার দিকে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচ যুবক মহাসড়কের উত্তর দিক থেকে এসে দক্ষিণ দিকে চলে যান। এ সময় সড়কের পশ্চিম পাশে রাখা তিনটি বাসে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুন দেওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালকের নাম ওসমান গণি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল গাড়ি চালানো শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিদিনের মতো মাদারবাড়ির মসজিদ এলাকায় বাসটি রেখে বাড়িতে চলে যাই। আজ ভোরে বিভিন্ন পরিচিতজন ফোন করে জানায় আমার গাড়িটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, আজ ভোররাত চারটার দিকে তিনটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। দ্রুত বের হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. খাইরুল হাসান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ ও হরতালের মধ্যে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নাশকতার অংশ হিসেবেই বাসগুলোতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।