কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পৃথক দুটি চিঠিতে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
সংসদ সদস্য জাফর আলমকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর জাফর আলম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া থানা এলাকায় সমাবেশ করেন। সমাবেশে তিনি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে নিজের জন্য ভোট চেয়ে প্রচারণা চালান। এতে মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ ছাড়া সমাবেশে জাফরের ছেলে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীসহ অনেকেই উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৯ নভেম্বর সালাহ উদ্দিন আহমদ উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ইনানী রিসোর্ট এলাকা থেকে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে পৌঁছে জনসভা করেন। সেখানে তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
মোটর শোভাযাত্রা বের করা, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা ও ভোট চাওয়া, উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দুই প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়। আগামী রোববার সালাহ উদ্দিন আহমদ ও জাফর আলমকে কক্সবাজারের যুগ্ম দায়রা ও জেলা জজ আদালতে (প্রথম) সশরীর হাজির হয়ে বা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
তবে চিঠির বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ ও জাফর আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখনো কোনো চিঠি পাননি। চিঠি পেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।