বিএনপি
বিএনপি

ভালুকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

ময়মনসিংহের ভালুকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ ওঠার পর ফখরুদ্দিন আহমেদ (বাচ্চু) নামের বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফখরুদ্দিন আহমেদ জেলা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে ওই এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের লোকজনের নিয়ন্ত্রণ ছিল। সেখানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ফখরুদ্দিন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রাহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে ফখরুদ্দিন আহমেদকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা উপজেলার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফখরুদ্দিন আহমেদ নিজের লোকজনকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি শুরু করেন। কয়েকটি কারখানার সাপ্লাই চেইন, পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ পাইয়ে দিতে ‘ভালুকা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেন। কাজ দেওয়ার আবেদনে বিভিন্ন কোম্পানিকে সুপারিশ করে লেখেন, ‘উল্লেখিত (ভালুকা এন্টারপ্রাইজ) প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যবসা পরিচালনার কার্যাদেশ প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হলো।’

এ বিষয়ে ফখরুদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫ আগস্টের (সরকার পতন) পর দলীয় নেতা-কর্মীরা কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দৌড়াদৌড়ি করছিল। যদি কোনো জায়গায় কাজ থাকে, এলাকার লোকজন যদি সবাই একমত পোষণ করে, কোম্পানিকে বিরক্ত না করে, তাহলে তাদের কাজ দেওয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করব। এ কথা বলে পুরো এলাকা শান্ত করে দিই।’

ফখরুদ্দিন আরও বলেন, ‘এ কাজে আমার পরিবারের কেউ সংশ্লিষ্ট নয়। কাজের জন্য নেতা-কর্মীরা কোম্পানিগুলোয় দৌড়াদৌড়ি করলে একটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেটি মীমাংসা করতে গিয়ে আমি দাগী হয়ে গেলাম। ব্যবসা পরিচালনার জন্য মালিকেরাও স্থানীয় একটি সাপোর্ট চায়। কোনো কোম্পানিকে চাপ সৃষ্টি করিনি, কাউকে ফোনও করিনি। কোম্পানিই অনুরোধ করেছে, যেন তাদের নিরাপদ থাকার জন্য বিভিন্ন পক্ষকে একত্র করা হয়।’